স্টাফ রিপোর্ট :: নানা অপকর্ম, আগ্নেয়াস্ত্র রাখা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠা মাহমুদুর রহমান রুমনের আশ্রয় এখন লাল দালান। মঙ্গলবার রাতে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। তবে রুমনের হেফাজতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র সম্পর্কে কোন তথ্য পায়নি পুলিশকে। পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, গণমাধ্যমে (দৈনিক একাত্তরের কথা, ২ নভেম্বর, সোমবার) আগ্নেয়াস্ত্রসহ রুমনের ছবি প্রকাশের পরই তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়। রুমনের সাথে তার সহযোগি বিপ্লবকেও গ্রেপ্তার করা হয়। তাকেও কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
বুধবার দুপুরে আদালতে হাজির করার আগে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় গ্রেপ্তারকৃত রুমন ও বিপ্লবকে। বুধবার সকালেই গোয়েন্দা পুলিশ তাদের হেফাজতে নিয়ে যায় দুজনকে। গ্রেপ্তারের পর রুমন ও বিপ্লবকে রাখা হয় বিমানবন্দর থানায়।
মাহমুদুর রহমান রুমন পীরমহল্লা এলাকার মৃত তজম্মুল আলী ছেলে এবং বিপ্লব ছাতক উপজেলার বাগবাড়ী গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে। বিপ্লব বর্তমানে ফাজিল চিশত, আ/এ ২০ নং বাসায় বসবাস করে আসছে।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, সিলেট মহানগর পুলিশের বিমানবন্দর থানায় রুমনের বিরুদ্ধে ২টি মামলা রয়েছে। তাদের ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হলেও গোয়েন্দা পুলিশ রুমন ও তার সহযোগী বিপ্লবের বিষয়ে আরো তথ্য উদঘাটনে মাঠে কাজ করে যাচ্ছে । তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতিও রয়েছে গোয়েন্দা পুলিশের। রুমনের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যগুলো যাচাই-বাছাই করার পাশাপাশি পুলিশ অস্ত্রের উৎস সম্পর্কেও কাজ করছে। এমনকি কয়েকজনকে নজরদারিতেও রাখা হয়েছে। মাদক ব্যবসার সাথে সন্ত্রাসী রুমন ও বিপ্লবের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে পুলিশ তথ্য পেয়েছে।
সিলেট মহানগর পুলিশের উপ পুলিশ কমিশনার (গণমাধ্যম) আশরাফ উল্লাহ তাহের জানান, গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে প্রথমে সন্ত্রাসী রুমনকে গ্রেপ্তার করে। এরপর তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে তার সহযোগি বিপ্লবকে বিমানবন্দর থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়,রুমন ও বিপ্লব উঠতি বয়সী সন্ত্রাসী চক্রের (কিশোর গ্যাং) সক্রিয় সদস্য। কয়েক বছর ধরে রুমন স্থানীয় কতিপয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় থেকে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে আসছে। মারামারি, সশস্ত্র মহড়া, নারীদের উত্ত্যক্ত করা, মাদক সেবন এবং চাঁদাবাজিসহ নানা অপকর্মের সাথে তার সম্পৃক্ততা রয়েছে।