শাবি প্রতিনিধি ::
সাধারণ ও সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীবান্ধব না হওয়ায় কারণ দেখিয়ে সকল প্রকার অনলাইন ভিত্তিক মূল্যায়ন বর্জন করেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের সকল ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার রাতে সকল ব্যাচের পক্ষ থেকে ফাইয়াজ ফজলু, এস এম সোহেল মেহেদী, আসিয়া আখতার খেয়া, ইমরান হায়দার, আবু তাহের তুহিন, মুজাহিদুল মুয়াজ ও ইমন খান স্বাক্ষরিত প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ইংরেজি বিভাগের শতভাগ শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাস করতে পারে নি। সেই পরিস্থিতিতে তাদের জন্য কর্তৃপক্ষের অনলাইন মূল্যায়ন ব্যবস্থার দিকে অগ্রসর হওয়া বিলাসিতা ছাড়া আর কিছুই না।
এছাড়াও অনলাইনে কোনো পরীক্ষা না নেওয়া, এটেনডেন্স মূল্যায়ন পদ্ধতিতে শিথিলতা প্রদর্শন, লেকচারের নিরবিচ্ছিন্ন ভিডিও ফুটেজ সরবরাহ করা, ইন্টারনেট ও ডিভাইস সহায়তা প্রদানসহ কিছু বিশেষ প্রতিশ্রুতি দিয়ে অনলাইন ক্লাসে আনা হয়েছিলো। কিন্তু এর খুব সামান্যই পরবর্তীতে বাস্তবায়িত হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা খুবই হতাশ হয়ে পরে।
এসব কারণে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমের মাধ্যমে গৃহীত পরীক্ষা প্রস্তুতির উপর সাধারণ শিক্ষার্থীরা যথেষ্ট আস্থাশীল হতে পারছে না। শীক্ষার্থীরা মনে করছে এতে তাদের সামগ্রীক রেজাল্ট বড় ধরণের হুমকির মুখে পড়বে।
এর প্রেক্ষিতে ইংরেজি বিভাগের সকল শিক্ষার্থীর সর্বসম্মতিক্রমে সকল প্রকার অনলাইন ভিত্তিক মূল্যায়ন (এসাইনমেন্ট, টার্ম টেস্ট, কুইজ ও ভাইভা) বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এর আগে শিক্ষার্থীরা প্রতি ব্যাচের আলাদা এবং সকল ব্যাচের সম্মিলিত মিটিংয়ে ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করার সিদ্ধান্ত নেয়। পরবর্তীতে তাদের এ সিদ্ধান্ত বিভাগীয় প্রধান হিমাদ্রি শেখর রায় কে প্রত্যেক ব্যাচ আলাদা করে প্রথমে মৌখিকভাবে ও পরে লিখিতভাবে জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, শিক্ষার্থীরা সর্বসম্মতিক্রমে এ বিষয়ে একমত হয় যে, তারা স্বশরীরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে না বসে শিক্ষাজীবনের কোনো প্রকার মূল্যায়নেই অংশগ্রহণ করবে না।
শিক্ষার্থীরা মনে করে, কর্তৃপক্ষ তাদের সিদ্ধান্তের যথার্থতা সমর্থন করে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর সকল ধরণের মূল্যায়ন গ্রহণের ব্যবস্থা করবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের ভয়ের কোন কারণ নেই, শংকার কোন কারণ নেই, ক্ষতির কোন আশংকা নেই। শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের সকল সমস্যা মাথায় রেখে বিষয়গুলো দেখবেন, মূল্যায়ন করবেন। কোন শিক্ষার্থী যেন ক্ষতির সম্মুখীন না হয় সে বিষয় টি তারা মাথায় রাখবেন।
তিনি বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীবান্ধব বিশ্ববিদ্যালয়। শিক্ষার্থীদের যেন কোন সমস্যা না হয় সেসব বিষয়গুলোতে আমরা অবগত আছি। শিক্ষার্থীদের যেকোন যৌক্তিক পরামর্শ আমরা সবসময় বিবেচনা করবো। আমরা শিক্ষার্থীদের পাশে সবসময় ছিলাম, আছি এবং থাকবো।